মনোনয়ন না পেলেও সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানী দক্ষিণের নগর ভবনে আয়োজিত প্রায় দুই মিনিটের মতো সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। বলেন, বলেছি আমি প্রতিক্রিয়া দিবো। আর আপনাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমার প্রিয় নগরবাসী ও প্রিয় দেশবাসীর কাছে জানাতে চাই, আমি রাজনীতিতে এসেছি আমার বাবার হাত ধরে, এই রাজনীতিতে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। এই কথাটি বলে বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকেন মেয়র খোকন। তারপর তিনি বলেন, আমার বাবার অনুপস্থিতিতে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আমি বলেছিলাম আমার নেত্রী আমার জন্য যেটা ভালো মনে করবেন তিনি সেটা করবেন। আমার নেত্রী আমার জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন সেটা করেছেন। আমি আবারো বলছি আমার নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমি খুশি মনে হাসি মনে মেনে নিয়েছি। তিনি যেটা আমার জন্য ন্যায্য মনে করেছেন, ভালো মনে করেছেন তিনি সেটা করেছেন। আগামীতে আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র খোকন। গতকাল রোববার প্রার্থী ঘোষণার দিন বনানীর বাসা থেকে বের হননি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরদেরও তাঁর বাসায় যেতে দেখা যায়নি। ডিএসসিসির আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাঈদ খোকন। এ জন্য তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তবে দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। ডিএসসিসির মেয়র পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস। জানা গেছে, কর্মদিবসে বেলা ১১টার পরপরই ডিএসসিসির নগর ভবনে নিজ দপ্তরে যেতেন সাঈদ খোকন। কিন্তু গতকাল দলের সমর্থন না পেয়ে তিনি সেখানে যাননি। দিনভর বনানীর বাসায় ছিলেন। শনিবার পর্যন্ত তার বাসায় দলীয় নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় লেগে ছিল। বনানী ১১ নম্বর রোডের একটি ভবনে থাকেন সাঈদ খোকন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই বাড়িতে তেমন কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। বাড়ির সামনে পুলিশ ও আনসারের কিছু সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। মেয়র সাঈদ খোকন মোবাইল ফোনে কারও সাথে কথা বলেন নি।